বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গারা মানববন্ধন ও মসজিদে দোয়া মাহফিল করেছে রোহিঙ্গারা। বুধবার ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গা এ কর্মসূচী পালন করেন। অবশ্য, রোহিঙ্গারা যাতে দলবেধে এসব কর্মসূচী পালন করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের নিধেধাজ্ঞা ছিল। এ কারণে ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃংখলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
ক্যাম্পের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পুর্তির দিন ফজরের নামাজের পর মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লে কার্ড নিয়ে রোহিঙ্গা শিশু ও নারীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে ছোট ছোট সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন করেছে। তবে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই এপিবিএন সদস্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ফলে বুধবার সকাল থেকেই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন এর সদস্য ছাড়াও জেলা পুলিশের সদস্য র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা জানান, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের কারণে কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে নানা সংঘাত দেখা দিয়েছে। মাদক কারবার, হত্যা, অপহরণ সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করে তাদেরকে এক জায়গায় নিয়ে আসা দরকার। তারা অবৈধভাবে পাসপোর্ট ও এনআইডি করেছে সবগুলো বাতিল করতে হবে। রোহিঙ্গাদের মদতদাতা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমাবেশে দাবি জানান বক্তারা।
কক্সবাজারে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সহ নিরাপত্তা জনিত কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সভা সমাবেশের কোন সুযোগ নেই। বর্তমানে ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পুর্তি। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গনহত্যার মুখে সীমা— পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারে সাড়ে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিল। এর ঠিক দুই বছরের মাথায় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সমাবেশের ঘটনায় দেশ বিদেশে ব্যপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এর পর সরকার ক্যাম্পে যে কোন ধরনের সভা সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ভয়েস/আআ